মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি :
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় রাইফুল(৮) নামে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়–য়া শিশুকে তুচ্ছ কারনে মারাধরের বিচার চাইতে গিয়ে উল্টো প্রতিবেশী আল-আমিনের অমানবিক নির্যাতন ও শ্লীলতাহানীর শিকার হলেন ওই ছাত্রের মা রিনা বেগম (৩৫)। এ ঘটনায় আহত মা রিনা বেগম ও ছেলে রাইফুল গত তিনদিন ধরে মঠবাড়িয়্ াউপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। রিনা বেগম উপজেলার পূর্ব ফুলঝুড়ি গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী মাহাবুব আকন এর স্ত্রী।
হাসপাতাল সূত্রে জানাযায়, মঠবাড়িয়ার তেতুলবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র রাইফুলের সাথে প্রতিবেশী আল-আমীন শিকদারের ছেলে সহপাঠী যাবের(৮) এর তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে স্কুলের শ্রেণীকক্ষে বসে গত গত রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি )বাক-বিতন্ডা হয়। এসময় যাবের সহপাঠী রাইফুলকে মারধর করে।
ঘটনা জানার পর ওই দিন দুপুরে রাইফুলের মা রিনা বেগম প্রতিবেশী যাবেরের বাবা আল-আমীনের কাছে নালিশ জানায়। এতে উল্টো ক্ষিপ্ত হয়ে হাতেআর আমীন লাঠি দিয়ে রিনা বেগমকে এলোপাথারি পিটাতে থাকে। এ সময় তিন সন্তানের জননী রিনা বেগম মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
আহত রিনা বেগম জানান, দুঃসম্পর্কের দেবর ও প্রতিবেশী আল-আমীন আমার চুল ধরে টেনে হিচড়ে পরিধানের কাপড় ছিঁড়ে শ্লীলতাহানী ঘটায়। এসময় সে জ্ঞান হারান।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. হারুন-অর-রশিদ তালুকদার হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গৃহবধূ রিনা বেগমের ওপর এ হামলা অমানবিক। এর বিচার হওয়া উচিৎ। তিনি আরও জানান, ওই হামলাকারী আল-আমীন এলাকায় বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
মঠবাড়িয়া থানা অফিসার ইনচার্জ খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাইনি। পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।