দেবদাস মজুমদার >
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার কচা নদীতে কোস্টগার্ড ও বন বিভাগ অভিযান চালিয়ে ১৮টি সামুদ্রিক হাঙ্গর উদ্ধার করেছে । এসময় আট জেলেকে আটক করা হয়। শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে অভিযানে আটককৃত আট জেলেকে আজ শনিবার বিকালে ভ্রাম্যমান আদালতে প্রত্যেককে তিন দিনের কারাদন্ডাদেশ দিয়ে জলে হাজতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ফিশিং ট্রলার মালিককে আটদিনের কারাদন্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
আটককৃত হাঙ্গরের ওজন ৫০/৬০মন যার আনুমানিক মূল্য ৫০ লাখ টাকা বলে জানিয়েছে বনবিভাগ ।
আজ শনিবার বিকালে ভান্ডারিয়া থানা সংলগ্ন ইকোপার্কে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও ইউএনও মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযুক্ত আট জেলেকে কারাদন্ডাদেশ দেন।
দন্ডিত জেলেদের সকলের বাড়ি পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
দন্ডিত জেলেরা হলেন চরবলেশ্বর গ্রামের ফিশিং ট্রলার ট্রলার মালিক মো. জেলে বেল্লাল ফকির(৩৫), মাসুদ খন্দকার(১৭), বালিপাড়া গ্রামের বায়েজিদ শেখ(২০), ফারুক মাতুব্বর (৩৪), আল আমীন খান(১৮), ব্যপসাবুনীয় গ্রামের রেজাউল ইসলাম(১৮), মো. হাবিবুর রহমান(৪০) ও কলারোন চন্ডিপুর গ্রামের ওহাব খান(৫০) ।
থানা ও স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে, অভিযুক্ত জেলেরা শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে গভীর সমুদ্র হতে ১৮টি হাঙ্গর শিকার করে এফবি রিয়দ নামে একটি ফিশিং ট্রলার যোগে পিরোজপুরের পাড়ের হাট মতস্য বন্দরের আড়তে সরবরাহের জন্য নিয়ে যাচ্ছিল। গোপনে সংবাদ পেয়ে ভান্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস, কোষ্ট গার্ডের পেটি অফিসার মো. মুর্তজা ও সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মোহাম্ম হোসেন কচা নদীর মোহনায় অভিযান চালিয়ে হাঙর বোঝাই ট্রলারটি আটক করে। পরে ট্রলারের তলদেশে বরফজাত ১৮টি হাঙর উদ্ধার করা হয়। এসময় ট্রলারের আট জেলেকে আটক করে ভান্ডারিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়।
ভান্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামরুজ্জামান তালুকদার বিষযটির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটককৃত ১৮টি হাঙ্গর বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আট জেলেকে ভ্রাম্যমান আদালতে কারাদন্ড দিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।